সুমিকে সহায়তায় এএসএফ

সিলেট জেলার মেয়ে সুমি আক্তার রিয়া। ছোট বেলায় ভাই এবং তাকে রেখে বাবা অন্যত্র বিয়ে করে পাড়ি জমায়। সুমি যখন একটু বড় হলো,তখন সে সিলেট শহরের একটি পার্লারে কাজ শুরু করে । পার্লারে কাজ করতে গিয়ে তার মনের মধ্যে একটি সুপ্ত বাসনা নাড়া দেয়-সে একদিন মডেল হবে এবং মিডিয়ায় কাজ করবে। কিন্তু তার আশা- আকাঙ্খা এক নিমিষেই ধুলিসাৎ হয়ে গেলো দুর্বৃত্তের ছোঁড়া এসিডে। ২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এসিড আক্রান্তের শিকার হয় সুমি। প্রথমে শেখ হাসিনা বার্ণ এ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইন্সটিটিউটে এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। তারপর থেকে এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন তার চিকিৎসা বহন করে আসছে। এসিডে সুমির মুখ,চোখ এবং হাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দুটি চোখই অন্ধ। চোখের উন্নত চিকিৎসার জন্য এএসএফ তাকে ভারতের চেন্নাইয়েও পাঠায়। বর্তমানে একটি মেয়ে সন্তানসহ মানবেতর জীবন-যাপন করছিলো। সুমি যেহেতু দুই চোখেই দেখতে পায় না,তাই তার জন্য পুনর্বাসন পরিকল্পনা করাও খুব মুশকিল ছিলো। অবশেষে সুমির চাওয়া অনুযায়ী এএসএফ থেকে তাকে একটি অটো রিক্সা দেওয়ার পরিকল্পনা করে । অটো রিক্সাটি তার মামা চালাবেন এবং সুমিকে প্রতিদিন আয়ের একটি অংশ প্রদান করবেন। অটোটি পেয়ে সুমি খুব খুশি। এতে সুমি প্রতিদিনের খরচ ও মেয়েটির পড়াশুনা বাবদ যা খরচ হবে তা বহন করতে পারবে। সুমি বলেন,“আমি এএসএফ এর কাছে কৃতজ্ঞ,কারণ এএসএফ আমাকে নিয়ে যতটুকু ভেবেছে আমার আত্মীয়-স্বজনও আমার জন্য এতটুকু ভাবেনি।

সুমিকে এই ধরণের সহযোগিতা করতে পেরে এএসএফও একটু স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলেছে। এএসএফ-এর প্রত্যাশা সুমিরা যেন ভালো থাকে,আত্ননির্ভরশীল হয়ে সমাজে যেন মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে ।

 

Donate Us:

https://acidsurvivors.org/donation-channel/