‘‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও মিডিয়ার ভূমিকা’’ শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা

‘‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও মিডিয়ার ভূমিকা’’ শীর্ষক বিষয়ে আলোচনা

আজ রোজ বুধবার দুপুর ১২.০০ ঘটিকার সময় পুরুষ এবং ছেলেদের সংযুক্তিকরণ নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা হ্রাসকরণ, নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে মিডিয়া তথা সাংবাদিক, সংবাদ সংস্থা (প্রিন্ট, ইলেক্ট্রেনিক্স), এর সাথে ‘‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও মিডিয়ার ভূমিকা’’ শীর্ষক বিষয়কে সামনে রেখে আলোচনা সভা পরিচালিত হয়।
জেন্ডারভিত্তিক ন্যায়বিচারের প্রচার: পুরুষ এবং ছেলেদের সংযুক্তিকরণ নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় ব্র্যাক এর সহযোগিতায় ও এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে এই মিডিয়া মোবিলাইজেশন সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব সর্দার জাহাঙ্গীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করে এমন সমমনা প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিক (প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স/অনলাইন) ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জনাব সরদার জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত সকলকে শুভেচ্ছা জানান। এরপর তিনি সংক্ষিপ্ত প্রকল্প পরিচিতি ও মিডিয়া মোবিলাইজেশন-এর উদ্দেশ্য এবং কেন পুরুষ ও বালকের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন তা উপস্থাপন করেন।
পরবর্তীতে উম্মুক্ত আলোচনা শুরু হয়। এতে বর্তমান প্রেক্ষাপটে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডার ভিত্তিক যে সহিংসতা গুলি হচ্ছে সে বিষয়গুলি পরিলক্ষিত হয়। আলোচনার মধ্য দিয়ে আগত সাংবাদিকবৃন্দ এই পরিস্থিতে কি কি করণীয় রয়েছে সে বিষয়ে গঠনমূলক পরামর্শ প্রদান করেন। তাদের মতে, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে পারিবারিক শিক্ষা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সমূহের ভূমিকা, জাতীয় মিডিয়া সংস্থাসহ সকল মিডিয়ার কার্যকর ভূমিকা, বাবা-মায়ের ইতিবাচক আচরণ, দৃষ্টিভঙ্গি, জেন্ডার সমতা এবং নৈতিক শিক্ষা, এই বিষয়গুলির উপর জোর দেওয়া। এছাড়া কিশোর ও যুব সমাজকে জেন্ডার এবং সহিংসতা প্রতিরোধ বা এর বিরুদ্ধে সচেতন এবং সংবেদনশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় কর্মশালা, প্রশিক্ষণ এবং ক্যাম্পেইন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে। সর্বোপরি আইনের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন এবং সেই সাথে অপরাধী ও তার পরিবারের দুর্দশা এবং নেতিবাচক পরিনতি সমাজের সামনে তুলে ধরার বিষয়েও আলোকপাত করেন। সভাপতির সমাপনী বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন তাহমিনা ইসলাম, কো-অর্ডিনেটর- কেস এ্যান্ড পার্টনারশীপ ম্যানেজমেন্ট।
“নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে’ সুশিল সমাজের সাথে মতবিনিময় সভা”

“নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক নির্যাতন প্রতিরোধে’ সুশিল সমাজের সাথে মতবিনিময় সভা”

অদ্য ১৯.১০.২০২০ রোজ সোমবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় জেন্ডারভিত্তিক ন্যায়বিচারের প্রচারঃ পুরুষ এবং ছেলেদের সংযুক্তিকরণ নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় ব্র্যাক এর সহযোগিতায় ও এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জনাব, সর্দার জাহাঙ্গীর হোসেন (নির্বাহী পরিচালক, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব আলহাজ্ব আবুল কাশেম, কাউন্সিলর, ওয়ার্ড ৩০, আদাবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের দুইজন প্রতিনিধি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করেন এমন সমমনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, এবং কমিউনিটির জনগণ। সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। সরকারি এবং বেসরকারি অংশীজনদেরকে নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালনে জোর প্রদান করেন। বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ফলো-আপ করা এবং বিচার কার্যক্রমকে দ্রুত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রত্যেককে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, নির্যাতন প্রতিরোধে সেক্স এডুকেশন, নৈতিকতা, জেন্ডার সমতার বিষয়গুলো পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভূক্তিকরণের ভূমিকাও তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। বাস্তবমুখী ভাবনা করতে হবে। নির্যাতনের শিকার যেন কেউ না হয় এবং সেই সাথে নির্যাতনের এই বিষয় নিয়ে যেন কেউ সুযোগ না নেয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রচলিত ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে সবাইকে একসাথে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন যে, নারীর প্রতি সমাজের ভুল ধারণা এবং ধর্মীয় অপব্যাখ্যার জায়গাও পরিবর্তন আনতে হবে এবং যেকোন নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরাধী যেন কোন ভাবেই আইনের অধিকার নিয়ে লড়তে না পারে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক কিছু সুপারিশ করেন যেগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সুপারিশসমূহের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষ ও ছেলেদের সংযুক্তিকরণ, বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার পরিবর্তন, পরিবারসহ সমাজের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিকুলামে সেক্স এডুকেশন, নৈতিকতা শিক্ষার প্রচলন উল্লেখযোগ্য।

বুধবার প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার মিলনায়তনে জেন্ডার ভিত্তিক ন্যায় বিচারের প্রচার:

বুধবার প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার মিলনায়তনে জেন্ডার ভিত্তিক ন্যায় বিচারের প্রচার:

পুরুষ এবং ছেলেদের সংযুক্তিকরণ নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় ব্র্যাক এর সহযোগিতায় ও এসিড সারভাইভরস ফাউন্ডেশন (এএসএফ) এর আয়োজনে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডার ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সুশিল সমাজের প্রতিনিধি ও সেবাপ্রদানকারী সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশ গ্রহণে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারী জিয়া উদ্দিন আহমেদ এর সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ শাহাদাৎ ইসলাম। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এর কুমিল্লা শাখার সভাপতি ডাঃ মোঃ মোসলে উদ্দিন, জেলা দুর্নিতী প্রতিরোধ কমিটির সাধরন সম্পদাক আলহাজ শাহ মোঃ আলমগীর খান, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক দুলাল, সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু, প্রেসক্লাব এর সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত বাবুল, সুজন কুমিল্লার সাধারন সম্পাদক আলী আকবর মাসুম, পেইজ কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক লোকমান হাকিম, এইড কুমিল্লার নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া বেগম শেফালী, হলদিয়ার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার, সৃষ্টি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সালমা আক্তার, দৃষ্টি কুমিল্লার প্রকল্প পরিচালক মোঃ আলী আজম, হলদিয়ার সভাপতি আবু তাহের রনি, দিয়া’র নির্বাহী পরিচালক মোঃ আবুল কাশেম, বøাস্ট কুমিল্লা ইউনিট এর সমন্বয়কারী এডভোকেট শামীমা আক্তার জাহান, জিসার নির্বাহী পরিচালক, মোঃ আলমগীর হোসেন, ট্যানিকেল ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার হোসেন, এএসএফ এর প্রোগ্রাম অফিসার (লিগাল) শাহ মোঃ মুহিব্বুল্লাহ, প্রোগ্রামম্যানেজার মোঃ মহিন উদ্দিন প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন এবং উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার। অফিসার তাহমিনা ইসলাম, প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার প্রকল্প সমন্বয়কারী মোঃ আনিসুর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল আহাছান । ব্র্যাক এর ডিভিশনাল ম্যানেজার মোঃ মহিন উদ্দিন প্রকল্পের কার্যক্রম উপস্থাপন করেন এবং উক্ত অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রত্যয় উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
Your small contribution may help Rina begum’s early recovery: a rice mill worker burnt by acid

Your small contribution may help Rina begum’s early recovery: a rice mill worker burnt by acid

“A new acid burn victim Rina Begum (42 years) was burnt on Saturday 11 July 2020 by her ex-husband Illias Hossain. Now she has been admitted at Dhaka Medical College and Hospital with 19% burnt. With the support of ASF now patients have been admitted at Sheikh Hasina national burn Institute. Her physical condition is stable but her eyes are not in good condition. She needs support for her treatment to come back to the previous stage.

She has been burnt 19% according to the DMCH and her two eyes are fully affected. From face to knee the whole body has been burnt brutally. After the incident she has been admitted to Jessore Medical Hospital and the medical team referred her to DMCH. But due to the financial crisis it was too hard for them to bear the ambulance service and other essentials. After immediately seeing the news at the daily newspaper Acid Survivors Foundation (ASF) came forward to support her. ASF contacted the local law enforcement department and hospital authority and took details of her and immediately connected with her family.

She has 3 daughters and a boy aged 12 years. Her daughters are married and have children too. They will not be able to stay at the hospital with their kids. So, this little boy will now take care of her mother. So, ASF has tried to take care of the boy too. Besides, hospital foods are not enough for the patient. She needs a special diet like eggs, milk, fruits etc. for early and better recovery.

So, your small contribution can save a life. You may help her to purchase food, medicine and may be with small help for her little attendant as well.”