মানিকগঞ্জের মর্মান্তিক ঘটনা

প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী গত ১৩/০৯/২০২৪ তারিখ মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় শারমিন,শিরিন এবং রুবেল নামে ৩ জন মানুষকে পেট্রোল ঢেলে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তাদের শরিরের অনেকাংশ পুড়ে যায়। তাৎক্ষনিক তিনজনকে স্থানীয়ভাবে কর্নেল মালেক মেডিকেল হাসপাতাল ও জেলা সদর হাস্পাতালে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সিটিউটটে পাঠানো হয়েছিল।

এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন থেকে যোগাযোগ করে জানা যায়, ১০ বছর আগে  হাসান আলি  নামে এক ব্যক্তির সাথে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। শারমিন এবং তার স্বামী ২ জনই গার্মেন্টস এ চাকুরি করতেন। হাসান মানুষ হিসেবে ভালো ছিল না। সে প্রায় মদ খেয়ে নেশা করতো এবং শারমিনকে মারধর  করতো। ঘটনার আগেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে শারমিন তার চাচার বাড়িতে চলে আসে  এবং স্বামীর নামে ডিভোর্স পাঠায়। এর জের ধরে তার স্বামী ঘটনার দিন চাচা শশুরের বাড়িতে এসে আবারো শারমিনের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয় এবং তাকে মেরে ফেলার উদ্দেশে গায়ে পেট্রোল ঢালে। তার চাচি এবং চাচাতো ভাই এটা বুঝতে  পেরে শারমিনকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসে। তার স্বামী এই দুইজনের গায়েও পেট্রোল ঢেলে দেয় এবং তিনজনের গায়েই আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ৩ জনই মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। ২ জনের চিকিৎসা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সিটিউটটে ( রুবেল এবং শারমিন) আর ১ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হয়।

অত্যন্ত বেদনাদায়ক খবর হচ্ছে, গত ২৫/০৯/২০২৪ তারিখ রুবেল ও শারমিন মারা যান এবং ২৬/০৯/২০২৪ তারিখ চাচি শিরিন আক্তার মারা যান। তাদের আত্মীয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, আসামীকে অর্থাৎ শারমিনের স্বামীকে ধরা হয়েছে এবং থানায় মামলা হয়েছ। উল্লেখ্য যে, ধস্তাধস্তিতে আসামীর শরীরেরও কিছু অংশ আগুনে পুড়ে যায়। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ কোর্ট থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।