বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আজিজুর রহমান বলেছেন, প্রশাসনের জিরো টলারেন্স ভূমিকায় বর্তমান বাংলাদেশে অবৈধভাবে এসিডের অপব্যবহার রুখে দেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানেও এর বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর রয়েছে। কিন্তু যারা পূর্বেই এর শিকার হয়েছে তাদের পুনর্বাসনে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এক্ষেত্রে বগুড়ায় এসিডে আক্রান্তের শিকার অসহায় মানুষদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ) এর আয়োজনে বুধবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দক্ষিণ এশিয় তরুণ নারী নেতৃত্ব তৈরি ও পরামর্শমূলক উদ্যোগ গ্রহণ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তার সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সদর ইউএনও এসব কথাগুলি বলেন।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এএসএফ প্রতিনিধি রুনা লায়লা এবং ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রম পরিবেশন করেন তরুণ নারী নেত্রী নুসরাত জাহান। সভায় মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শফিকুল ইসলাম, উপজেলা সমবায় অফিসার আতিকুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আতাউর রহমান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাজিয়া শামস্, শিশু ও যুব সংগঠক সঞ্জু রায়, লাইট হাউজের রাকিবুল ইসলাম খান, ব্রাকের প্রতিনিধি মাসুদ রানা, সংস্থার তরুণ নেত্রী সুরাইয়া আক্তার, ছায়া আক্তার এবং রফা ইসলাম।
উল্লেখ্য, এএসএফ সংস্থাটি ১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশে চিরতরে এসিডের সহিংসতা বন্ধে কাজ করে যাচ্ছে যার আওতায় এসিড আক্রান্তদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান, পরোক্ষ আইনি সহায়তা প্রদান, পুনর্বাসন এবং জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখা, শিক্ষা সহায়তা এবং আয়বৃদ্ধিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনাসহ এই সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের অন্ধকার থেকে বের হয়ে আলোর পথে নিয়ে আসতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। এখন পর্যন্ত বগুড়ায় প্রায় ১৫৭ জন বিভিন্ন কারণে এসিড সহিংসতার শিকার হলেও গত ৫ বছরে এই হৃদয়বিদারক সহিংসতা বগুড়ায় সংগঠিত হয়নি।
Source: pundrokotha