অদ্য ১৯.১০.২০২০ রোজ সোমবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় জেন্ডারভিত্তিক ন্যায়বিচারের প্রচারঃ পুরুষ এবং ছেলেদের সংযুক্তিকরণ নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা হ্রাসকরণ প্রকল্পের আওতায় ব্র্যাক এর সহযোগিতায় ও এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এর আয়োজনে নারী ও শিশুর প্রতি জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে জনাব, সর্দার জাহাঙ্গীর হোসেন (নির্বাহী পরিচালক, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জনাব আলহাজ্ব আবুল কাশেম, কাউন্সিলর, ওয়ার্ড ৩০, আদাবর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের দুইজন প্রতিনিধি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ করেন এমন সমমনা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, এবং কমিউনিটির জনগণ। সভায় আমন্ত্রিত অতিথিরা নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে কয়েকটি বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। সরকারি এবং বেসরকারি অংশীজনদেরকে নির্যাতন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালনে জোর প্রদান করেন। বিচারের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত ফলো-আপ করা এবং বিচার কার্যক্রমকে দ্রুত পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রত্যেককে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, নির্যাতন প্রতিরোধে সেক্স এডুকেশন, নৈতিকতা, জেন্ডার সমতার বিষয়গুলো পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভূক্তিকরণের ভূমিকাও তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের সবার নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে। বাস্তবমুখী ভাবনা করতে হবে। নির্যাতনের শিকার যেন কেউ না হয় এবং সেই সাথে নির্যাতনের এই বিষয় নিয়ে যেন কেউ সুযোগ না নেয়। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের প্রচলিত ধারনা থেকে বেরিয়ে এসে সবাইকে একসাথে নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতনের বিরুদ্ধে কাজ করতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন যে, নারীর প্রতি সমাজের ভুল ধারণা এবং ধর্মীয় অপব্যাখ্যার জায়গাও পরিবর্তন আনতে হবে এবং যেকোন নির্যাতনের ঘটনায় অপরাধীকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরাধী যেন কোন ভাবেই আইনের অধিকার নিয়ে লড়তে না পারে সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন এর প্রধান নির্বাহী পরিচালক কিছু সুপারিশ করেন যেগুলো নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সুপারিশসমূহের মধ্যে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষ ও ছেলেদের সংযুক্তিকরণ, বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতার পরিবর্তন, পরিবারসহ সমাজের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিকুলামে সেক্স এডুকেশন, নৈতিকতা শিক্ষার প্রচলন উল্লেখযোগ্য।